ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাবের বিধান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • ১৫৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জুমা মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনটি আল্লাহ তায়ালা বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা এই দিন হালালকে হারাম করেন। বান্দার ইবাদতের সওয়াবের পাল্লা ভারী করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিনের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব।

আমলের দিক থেকেও মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন এর অন্যতম হলো জুমার দিন।
এ দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আহকাম ও ঐতিহাসিক নানা ঘটনা। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।

কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এই দিনের মর্যাদার কথা জানা যায়। রাসূল (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)।

জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাবের বিধান

জুমার দ্বিতীয় আজানের সময় যখন খতিব সাহেব মিম্বরে উপবিষ্ট থাকেন, তখন ফেকাহবিদদের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব মৌখিক না দেয়াটাই উত্তম। তা সত্ত্বেও কেউ দিতে চাইলে মনে মনে জবাব দিতে পারে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২/৫৮)।

আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ (রাহ.) বলেন, আমি মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) কে মিম্বরের উপর বসা অবস্থায় দেখেছি, মুয়াযযিন যখন আজানে আল্লাহু আকবার বললেন তখন তিনিও আল্লাহু আকবার বলেছেন। এরপর আজান শেষ হলে তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে এই মজলিসে অর্থাৎ যখন মুয়াযযিন আজান দেন- এমনটিই বলতে শুনেছি, যেমনটি আপনারা আমাকে বলতে শুনলেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৯১৪)

অন্য বর্ণনায় সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাহ.) বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে নামাজ পড়া যাবে না আর ইমাম খুতবা শুরু করলে কথা বলা যাবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৩৪২) আর খুতবার সময় যেহেতু চুপ থাকা ও মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা ওয়াজিব তাই আজানের পরপরই ইমাম খুতবা শুরু করে দিলে আজানের দুআ পড়া যাবে না। কিন্তু যদি ইমাম খুতবার জন্য দাঁড়াতে বিলম্ব করেন তবে এ সময় আজানের দুআও পড়া যাবে। (ফাতহুল বারী ২/৪৬০; ইলাউস সুনান ২/৮০; আসসিআয়াহ ২/৫৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮২; আততাজরীদ ২/৪৭৭; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/২০০)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাবের বিধান

আপডেট টাইম : ১১:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জুমা মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এই দিনটি আল্লাহ তায়ালা বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা এই দিন হালালকে হারাম করেন। বান্দার ইবাদতের সওয়াবের পাল্লা ভারী করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিনের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব।

আমলের দিক থেকেও মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন এর অন্যতম হলো জুমার দিন।
এ দিনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আহকাম ও ঐতিহাসিক নানা ঘটনা। সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ।

কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এই দিনের মর্যাদার কথা জানা যায়। রাসূল (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)।

জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাবের বিধান

জুমার দ্বিতীয় আজানের সময় যখন খতিব সাহেব মিম্বরে উপবিষ্ট থাকেন, তখন ফেকাহবিদদের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব মৌখিক না দেয়াটাই উত্তম। তা সত্ত্বেও কেউ দিতে চাইলে মনে মনে জবাব দিতে পারে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২/৫৮)।

আবু উমামা ইবনে সাহল ইবনে হুনাইফ (রাহ.) বলেন, আমি মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) কে মিম্বরের উপর বসা অবস্থায় দেখেছি, মুয়াযযিন যখন আজানে আল্লাহু আকবার বললেন তখন তিনিও আল্লাহু আকবার বলেছেন। এরপর আজান শেষ হলে তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে এই মজলিসে অর্থাৎ যখন মুয়াযযিন আজান দেন- এমনটিই বলতে শুনেছি, যেমনটি আপনারা আমাকে বলতে শুনলেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৯১৪)

অন্য বর্ণনায় সাইদ ইবনুল মুসায়্যিব (রাহ.) বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে নামাজ পড়া যাবে না আর ইমাম খুতবা শুরু করলে কথা বলা যাবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৫৩৪২) আর খুতবার সময় যেহেতু চুপ থাকা ও মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা ওয়াজিব তাই আজানের পরপরই ইমাম খুতবা শুরু করে দিলে আজানের দুআ পড়া যাবে না। কিন্তু যদি ইমাম খুতবার জন্য দাঁড়াতে বিলম্ব করেন তবে এ সময় আজানের দুআও পড়া যাবে। (ফাতহুল বারী ২/৪৬০; ইলাউস সুনান ২/৮০; আসসিআয়াহ ২/৫৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮২; আততাজরীদ ২/৪৭৭; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/২০০)